কাঠালিয়া প্রতিনিধি ॥ ঝালকাঠির কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় সাংবাদিক এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশের আবেদনকৃত সাধারণ ডাইরী নথিভুক্ত না করে ছয়দিন ঘুরিয়ে ফেরৎ দিলেন। অথচ অপরাধি প্রশান্ত কুমার দাস জনসম্মুখে বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে তার অপরাধ শিকার করে এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশের কাছে হাত জোর ও অনুনয়-বিনয় করে বিষয়টি মাফ করে দেওয়ার জন্যে ক্ষমা চাইলেন। সৎ, সাহসী,সরল ও তরুন সাংবাদিক এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ, দৈনিক ভোরের পাতা, দৈনিক সংবাদ ও আজকের পরিবর্তন পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি ও কাঠালিয়া প্রেসক্লাবের সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সামাজিক ও পেশাগত মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ে পুলিশের কাছে সাধারণ ডাইরী করতে যান। আর সে ডাইরী না নিয়ে পুলিশ তাকে সকালে না, বিকাল, আজ না কাল, স্যার নেই, স্যার আসলে হচ্ছে, স্যার আছে কিন্তু মেঝ স্যার নেই, তাই রাতে আসতে হবে, আপনাকে অনেক পছন্দ করি, ভালোবাসি, ব্যবস্থা নিচ্ছি এমন সব কথা বলে এক নয়, দুই নয়, ছয়দিন ঘুরিয়ে নথিভুক্ত না করেই ফেরৎ দেয়া হয়েছে এ সাংবাদিকের সাধারণ ডাইরীর আবেদনটি। একজন সাংবাদিকের একটি সাধারণ ডাইরীর বেলায় যদি এত টালবাহান হয়, তাহলে গ্রামের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষ কি সেবা পাচ্ছেন ? অথচ আমুয়া গ্রামের সুখরঞ্জন দাসের ছেলে প্রশান্ত কুমার
দাস ৬ অক্টোবর কাঠালিয়া সদরস্থ এক সাংবাদিকের ব্যবসায়িক কার্যালয়ে ৫/৭ জন সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে জানান, “নাসির ভাইয়ের বিষয় লেখাটি আমার ভুল হয়েছে। এটি আমি মুছে ফেলেছি, এমনকি যারা শেয়ার করেছেন তারাও মুছে ফেলেছেন। এ লেখাটি আমার একটি বড় ভুল ছিল। আমি আপনার কাছে (এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ) হাত জোর করে ক্ষমা চাচ্ছি, আমাকে ক্ষমা করে দিন। কখনও এরকম ভুল হবে না বা করবো না”। উল্লেখ্য যে, গত ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিডি নিউজ ওয়ার্ল্ড নামে একটি পেইজে স্থানীয় প্রতিনিধি প্রশান্ত কুমার দাস সাংবাদিক নাছির উদ্দিনের নামে অশালিন ও মিথ্যা কিছু কথাবার্তা লিখে পোষ্ট করেন। এ ব্যাপারে আইনী সহায়তা চেয়ে এইচ এম নাসির উদ্দিন আকাশ ২ অক্টোবর কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ এর বরাবরে সাধারণ ডাইরীর জন্য আবেদন করেন। ৬ দিন পরে গত ৭ অক্টোবর সাধারণ ডাইরী করা যাবেনা বলে আবেদনটি নাসিরের কাছে ফেরৎ দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply